ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিয়ানজিনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে মোদি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে চীনের সমর্থন চেয়েছেন, যা শি জিনপিং স্বাগত জানিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দুই নেতা সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদারের উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান, “প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উত্থাপন করেছেন। সন্ত্রাসবাদ ভারতের পাশাপাশি চীনের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ।”
মিশ্রি আরও বলেন, “এই সংকট মোকাবিলায় চীনের সমর্থন চাওয়া হয়েছে এবং চীন তা নিশ্চিত করেছে।” তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে চীনের অতীত অবস্থান ও পেহেলগাম হামলার যৌথ ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
দুই দেশ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে ভারতের অচলাবস্থা, কৌশলগত স্বশাসন এবং ‘তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিকোণ’ থেকে সম্পর্ক মূল্যায়ন না করার ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে একই অবস্থান বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও আলোচনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মার্কিন শুল্কের পর ভারত ও চীনের সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। দুই দেশ এখন একসাথে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, সোমবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এটি মোদির ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের প্রথম সরাসরি বৈঠক।
উল্লেখ্য, তিন বছর পর এসসিওর সম্মেলনে সরাসরি যোগ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩ সালে ভারত অনলাইনে সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল এবং ২০২৪ সালে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যোগ দেননি।
সূত্র: এনডিটিভি
Leave a comment