ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বি আলমসহ মোট ৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি বলেন, সম্প্রতি ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেন।
সিআইডির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অনলাইন মিটিংয়ে জয় বাংলা ব্রিগেড গঠন করা হয়। ওই বৈঠকে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা। সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, ওই ভার্চ্যুয়াল সভায় দেশ-বিদেশ থেকে ৫৭৭ জন অংশ নেন।
সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা করেন। তাঁরা বর্তমান সরকারকে উৎখাতের জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেন। এ ধরনের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সিআইডি।
আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিআইডিকে। দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার দল ও সমর্থকেরা এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করলেও, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মামলা করা হয়েছে।
Leave a comment