২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দায়ের করা মামলায়, তদন্ত শেষে আদালত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের ৬৫ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব তদন্ত সংস্থার দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রমনা এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর রমনা থানার এসআই আউয়াল বাদী হয়ে মির্জা ফখরুলসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মামুন হাসান আদালতে দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মির্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
পরে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন। বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ শুনানি শেষে দায়রা জজ আদালতও অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকে একটি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া দলের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এখনো সমাবেশ-সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
Leave a comment