নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)। দীপের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাওয়া গেছে দেশের কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পীর মাদক ক্রয়ের তথ্য।
নারকোটিক্স জানায়, দীপ দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করে আসছিলেন। তার গ্রুপে নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ আনাতোনি কেলি সাফা (সাফা কবির), মুমতাহিনা চৌধুরী (টয়া), তানজিন তিশা এবং সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ গ্রুপে সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি এবং কুশসহ উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন মাদক কেনাবেচা হতো।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সাফা কবিরের একটি বার্তায় উল্লেখ আছে, “ই দিতে পারবা আমাকে ৩টা।” একইভাবে টয়া এবং সুনিধি নায়েকের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায় মাদক ক্রয়ের আলাপের প্রমাণ মিলেছে। চ্যাট রেকর্ড অনুযায়ী, সুনিধি নায়েক মাদকের ব্র্যান্ড পছন্দ করে অর্ডার দিয়েছেন, যা ভারত থেকে চোরাইপথে আসে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদকব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির এক পর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও চ্যাট পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কয়েকজন তারকা শিল্পীর মাদক সম্পৃক্ততার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।
এ বিষয়ে টয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি অরিন্দম রায় দীপকে চেনেন না বলে দাবি করেন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, সাফা কবির এবং তানজিন তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নারকোটিক্স জানায়, মাদকাসক্তি ধনাঢ্য পরিবারের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছে, উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন এসব মাদক যেমন এমডিএম, এলএসডি, ও কুশ ইলেকট্রনিক সিগারেটের মাধ্যমে সেবন করা হয়। দীর্ঘমেয়াদে এসব মাদক কিডনি ও লিভার ধ্বংসসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে দেয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
Leave a comment