মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তার দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন:
• শেখা আক্তার, ২৯, শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী
• আরাফাত ইসলাম আলভি, ১১, মানিকগঞ্জ শহরের বেসরকারি শাহীন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী
• সাইফা আক্তার, ২, শেখার মেয়ে
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইট ট্যাবলেটের খালি কৌটা পাওয়া গেছে। একই বিল্ডিংয়ের প্রতিবেশী আলমগীর জানান, সোমবার রাতে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে দরজায় নক করেছিলেন, তবে কোনো সাড়া পাননি। তিনি ভেবেছিলেন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে খবর দেন।
বাড়ির মালিক মুক্তাদির বলেন, দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পাশের বিল্ডিং থেকে জানালা দিয়ে তিনজনের মরদেহ দেখতে পান। দরজা ভেঙে খাট ও ফ্লোর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুক্তাদির আরও জানান, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেখা আক্তার ও তার স্বামী শাহীন আহমেদ ওই বাসায় উঠেছিলেন। পরদিনই শাহীন মালয়েশিয়ায় ফিরে যান। কিছুদিন অন্যত্র অবস্থানের পর চলতি মাসের শুরুতে শেখা সন্তানদের নিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসেন।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন জানান, শিখা আক্তার ছিলেন শাহীন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। ছেলে আরাফাত তার প্রথম স্বামীর সন্তান এবং মেয়ে সাইফা বর্তমান স্বামীর সন্তান।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের কারণে শিখা আক্তার এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সন্তানদেরও বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ ঘটনার পরিপূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে মৃতদের পরিবার, প্রতিবেশী ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা হবে।
Leave a comment