Home আঞ্চলিক প্রথম দিনে বই পাচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থী!!!
আঞ্চলিকখুলনাচট্টগ্রামঢাকাবরিশালময়মনসিংহরংপুররাজশাহীসিলেট

প্রথম দিনে বই পাচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থী!!!

Share
Share

নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেও দেশের অনেক শিক্ষার্থী তাদের পাঠ্যবই হাতে পায়নি। সুনামগঞ্জে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩৩ লাখেরও বেশি বই প্রয়োজন হলেও সোমবার পর্যন্ত সেখানে একটি বইও পৌঁছেনি। প্রাথমিক স্তরে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির কিছু বই এলেও ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির কোনো বই পাঠানো হয়নি।

পাশের জেলা নেত্রকোনার অবস্থাও একই রকম। এই জেলায় মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ লাখের বেশি বই দরকার, তবে মাত্র ১৫ হাজার বই সরবরাহ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে যেখানে ১৫ লাখ বইয়ের প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৭ লাখ বই পাওয়া গেছে।

এ পরিস্থিতি শুধু এই দুটি জেলার নয়; সারা দেশেই বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব দেখা দিয়েছে। এর ফলে বছরের প্রথম দিনে অনেক শিক্ষার্থী সব বই তো দূরের কথা, একটি বইও পাবে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৪০ কোটির বেশি বই মুদ্রণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আগে থেকেই চ্যালেঞ্জ অনুমান করে, তারা প্রাথমিকভাবে অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই—বাংলা, ইংরেজি ও গণিত—প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে সেটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় এনসিটিবি নতুন পরিকল্পনা করেছে—প্রথম দিনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বই বিতরণ করা হবে। কিন্তু বই মুদ্রণ ও সরবরাহে যে দেরি হয়েছে, তাতে এই পরিকল্পনাও শতভাগ সফল হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

এ বছরের নতুন শিক্ষাবর্ষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া হয়েছে। এ জন্য ৪৪১টি বই পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যা মুদ্রণে দেরির অন্যতম কারণ। তাছাড়া, পূর্বের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়া, চুক্তি চূড়ান্ত করতে দেরি হওয়া এবং মুদ্রণকারীদের সঙ্গে কাজ শুরুতে বিলম্ব হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

সোমবার পর্যন্ত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণির জন্য প্রয়োজনীয় ৯ কোটি ৬৪ লাখ বইয়ের মধ্যে মাত্র ৩ কোটি ৯৪ লাখ বই বিতরণের অনুমোদন পেয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের ৩০ কোটি ৯৬ লাখ বইয়ের মধ্যে বিতরণযোগ্য হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৮ লাখ বই।

প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বছরের প্রথম দিনে অনেক শিক্ষার্থী একটি বইও পাবে না। পুরোপুরি বই বিতরণ শেষ হতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম দিনে প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত একটি শ্রেণির জন্য বই পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে অন্যান্য শ্রেণির বইও সরবরাহ করা হবে। যদি কাগজের সংকট না হয়, তবে ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don't Miss

স্বৈরাচারের দোসরদের পালাতে সুযোগ দিচ্ছে সরকার: তারেক রহমান

সরকারের চলমান সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণের মধ্য দিয়ে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি...

সুন্দরবনে ৭৮ জনকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করালো বিএসএফ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশের সুন্দরবনসংলগ্ন মান্দারবাড়িয়া চরে স্পিডবোটে করে এসে ৭৮ জন মানুষকে রেখে চলে যায় বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।...

Related Articles

চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে একসাথে ছয় সন্তানের জন্ম

চট্টগ্রাম, ১০ মে – ন্যাশনাল হাসপাতাল চট্টগ্রাম লিঃ এ আজ এক অবিস্মরণীয়...

লাউ গাছের সাথে এ কেমন শুত্রুতা, থামছেনা কৃষক দম্পতির আহাজারি।

মো: আলমগীর, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর শিংপাড়া গ্রামের এক...

পটিয়ার পাহাড়ে ‘অপহরণ বাণিজ্য’, প্রাণভয়ে গ্রামবাসী

এক ভয়াবহ বাস্তবতার নাম হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়ার পাহাড়ি এলাকা । অপহরণকারীদের নিরাপদ...

সেনা অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১১০ লিটার মদসহ ২ জন আটক।

সেনা অভিযানের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির গুইমারা থেকে  ১১০ লিটার দেশীয় তৈরি বাংলা মদসহ...