যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যানহাটনের ভয়াবহ বন্দুক হামলায় এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের স্ত্রী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্তানের জন্মের খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম আইউইটনেস নিউজ।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই সশস্ত্র হামলায় দিদারুল ইসলাম প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই সময় তার স্ত্রী ছিলেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর শোকাবহ পরিবেশের মধ্যেই তাদের পরিবারে নতুন প্রাণের আগমন ঘটল। এ দম্পতির আরও দুই সন্তান রয়েছে।
গত ২৮ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউর একটি অফিস ভবনে বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দিদারুল ইসলামসহ পাঁচজন নিহত হন। পরে বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানায়, হামলাকারীর নাম শেন ডেভন তামুরা (২৭)। তিনি একটি আধুনিক এম৪ রাইফেল ও বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে হামলা চালান। ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম হামলাকারীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, “ডিটেকটিভ দিদারুল ইসলামের পরিবার নিউইয়র্ক সিটির অংশ। শহরের পক্ষ থেকে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব।” দিদারুলের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে এনওয়াইপিডি তাকে মরণোত্তর পদোন্নতি দিয়ে ডিটেকটিভ পদে ভূষিত করেছে।
বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া দিদারুল ইসলাম ছিলেন এনওয়াইপিডির ৪৭তম প্রিসিঙ্কটে কর্মরত। মাত্র সাড়ে তিন বছর আগে তিনি এই বাহিনীতে যোগ দেন। তার কর্মনিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য তিনি ছিলেন সবার প্রিয়।
একদিকে পরিবারের কর্ণধারকে হারানোর শোক, অন্যদিকে নতুন জীবনের আগমন—এই দ্বৈত অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে দিদারুল ইসলামের পরিবারকে। নিউইয়র্ক সিটির প্রতিশ্রুতি ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সহায়তা হয়তো তাদের এই কঠিন সময় অতিক্রমে কিছুটা শক্তি জোগাবে।
Leave a comment