ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে শরিফা ইয়াসমিন সৌমা নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শরিফা ইয়াসমিন সৌমা (২৩) খুলনার খালিশপুরের তায়েদুর রহমান মেয়ে । এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। ইনজেকশন প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেছেন সৌমা। ৪-৫ পৃষ্ঠার চিরকুটে মানসিক চাপ ও নানা কষ্টের কথা লিখেছেন তিনি। সহপাঠীরা জানায়, সৌমা কথাবার্তা কম বলত এবং খুবই ভালো ছিল। বেশ কিছুদিন থেকে নানাবিধ হতাশায় ভুগছিল। সেসব থেকেই হয়তো আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, ওই চিরকুটে সৌমা মানসিক চাপ ও নানা কষ্টের কথা লিখেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাবা-মা ময়মনসিংহে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সৌমার কক্ষ থেকে সুইসাইড নোট, বই, ডায়েরি, বিভিন্ন ধরনের ওষুধসহ হাতে ক্যানোলা লাগানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। কক্ষে আরেকজন ছাত্রী থাকতেন, সকালে তিনি ক্লাসে যাওয়ার সময় সৌমাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাজমুল আলম খানের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a comment