বলিউড সুপারস্টার সালমান খান প্রতি বছরই পরিবারসহ ধুমধাম করে গণেশচতুর্থী উদ্যাপন করেন। তবে মুসলিম পরিবার হয়েও কেন এই উৎসব পালিত হয়, তা নিয়ে অনুরাগীদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে। এবার সেই উত্তর দিলেন সালমান খানের বাবা, চিত্রনাট্যকার সেলিম খান।
সেলিম খান জানান, তাঁদের পরিবারে গণেশপুজোর ঐতিহ্য শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই, এমনকি তাঁর বিয়েরও আগে। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার ইনদওরের একটি হিন্দু এলাকায় থাকত।
সেখানে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। সবাই মিলেমিশে উৎসব করত, খাবার ভাগাভাগি করত। সেই সময় থেকেই আমাদের বাড়িতে গণেশপুজো করা শুরু হয়।” গত ১৫ বছর ধরে মুম্বাইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে খান পরিবারের প্রধান ফ্ল্যাটের প্রবেশপথেই স্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে একটি গণেশমূর্তি। এই দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যই আজও পালন করে চলেছেন তাঁরা।
সেলিম খান আরও বলেন, তিনি ছোটবেলায় হিন্দু বন্ধুদের সঙ্গেই বেশি মেলামেশা করেছেন। স্কুলে মাত্র তিনজন মুসলিম সহপাঠী থাকলেও তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছিল মূলত হিন্দু সহপাঠীদের সঙ্গে। হিন্দু সংস্কৃতির আবহেই বড় হয়ে ওঠায় জীবনের নানা প্রেক্ষাপটে সেই প্রভাব স্পষ্ট। এমনকি তিনি প্রথমে সাতপাক ঘুরে বিয়ে করেছিলেন, পরে নিকাহ সম্পন্ন হয়।
তাঁর স্ত্রী সুশীলা চরক (বিয়ের পর সালমা খান) হিন্দু পরিবার থেকে আসলেও, ভিন্ন ধর্মে বিয়ে নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। শুধু স্ত্রীর পরিবারের একজন দূরসম্পর্কের আত্মীয় সামান্য আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে জানান সেলিম।
এই মানসিকতাই ছেলের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে বলে মত সেলিম খানের। তাই সালমান খান প্রতি বছরই পরিবারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে গণেশচতুর্থী পালন করেন।
Leave a comment