কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম মাজহারুল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে তৃতীয় আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১ থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। নির্দেশ পালনে ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামি বিভিন্ন অঞ্চলে সমন্বয় করেন। স্থানীয়ভাবে ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা আন্দোলন দমন করতে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, ককটেলসহ অর্থ সরবরাহ করেন। গত বছরের ৪ আগস্ট কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনাও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী তহমুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঐ হামলায় তিনি আহত হন এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলা এবং জেলায় প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়েছে। এতে প্রায় ৪ হাজার পরিচিত এবং ১০ হাজারের বেশি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। যেকোনো ব্যক্তি তার অধিকার প্রয়োগ করে মামলা দায়ের করতে পারেন।
এই মামলাটি কিশোরগঞ্জ এবং জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
Leave a comment