যাদের আচরণ বারবার আপনার মানসিক শান্তি নষ্ট করে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে—তারাই টক্সিক মানুষ। অনেক সময় আত্মীয়, বন্ধু কিংবা সহকর্মীর মুখোশের আড়ালেও লুকিয়ে থাকে এরা। একবার চিনে ফেললেও, তাদের থেকে দূরে থাকা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।
সম্পর্ক বা পরিস্থিতির কারণে সবসময় এড়িয়ে চলা সম্ভব না হলেও, কিছু কৌশল মেনে চললে নিজের মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। জেনে নিন ৪টি কার্যকর টিপস—
🧩 ১. স্পষ্ট সীমারেখা তৈরি করুন
আপনার সঙ্গে কে কতটা ঘনিষ্ঠ হবে, সেটা ঠিক করার অধিকার আপনারই।
শুরু থেকেই নির্দিষ্ট করে দিন—আপনি কী সহ্য করবেন, আর কী না। যদি কেউ বারবার সীমা লঙ্ঘন করে, নরমভাবে হলেও স্পষ্ট করে বলুন যে আপনি সম্মান ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রত্যাশা করেন।
🧘♀️ ২. পাত্তা কম দিন
এই ধরনের মানুষের বলা প্রতিটি কথায় গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করুন।
তারা কী বলল বা কী ভাবল—তা ভেবে মানসিক শান্তি হারাবেন না। তাদের নেতিবাচক মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসে দৃঢ় থাকুন।
🪞 ৩. নিজের মানসিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিন
সবকিছুর আগে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেই খেয়াল রাখুন। যদি কারও সঙ্গে কথা বলার পর মন খারাপ লাগে বা আত্মবিশ্বাস কমে যায়, সেটাই ইঙ্গিত—আপনার দূরত্ব প্রয়োজন। প্রয়োজনে যোগাযোগ সীমিত করুন বা সময়মতো বিরতি নিন।
🌿 ৪. ইতিবাচক পরিবেশে সময় দিন
যারা আপনাকে অনুপ্রেরণা দেয়, ভালোবাসা ও সহযোগিতা দেয়—তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শ আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করবে এবং নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।
সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব নয়। তাই যাদের উপস্থিতি কেবল ক্লান্তি আনে, তাদের থেকে দূরে থাকা স্বার্থপরতা নয়—বরং আত্মসম্মান রক্ষার উপায়।
Leave a comment