ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রামে ঘর থেকে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় রতন মিয়ার স্ত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন—রতন মিয়া (৩০) এবং তার সাত বছরের কন্যা নরিয়া আক্তার। রতন ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, “ভোরের দিকে স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি খাটের ওপর রতনের গলাকাটা মরদেহ এবং মেঝেতে মেয়ে নরিয়ার মরদেহ পড়ে আছে। রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রতনের স্ত্রীকে জীবিত গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, ঘটনাটি পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘটতে পারে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা—তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।”
স্থানীয়রা জানান, রতন মিয়া ঢাকায় চাকরি করলেও সপ্তাহখানেক আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন। পারিবারিক কলহের বিষয়েও প্রতিবেশীরা অবগত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ভূবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল মালেক বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি ঘরজুড়ে রক্তের দাগ। কে বা কারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো কেউ জানে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” এএসপি হাফিজুর রহমান আরও জানান, নিহত বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Leave a comment