লাল মাংস বা চর্বিজাতীয় খাবার না খেলেও কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে শুধু খাবার নয়, জীবনযাপন ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ও পানীয় গ্রহণ রক্তে শর্করা বাড়িয়ে তা দ্রুত চর্বিতে রূপান্তর করে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। একইভাবে সাদা চাল, ময়দা বা সাদা আটার তৈরি খাবারও রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে তোলে। স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে গোটা শস্যদানা বা হোল গ্রেইন বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সসেজ কিংবা কেচাপের মতো খাবারে থাকে অতিরিক্ত লবণ, যা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে হৃদ্রোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
শরীর ও মনের যত্ন না নেওয়াও হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপমুক্ত জীবনযাপন হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। একটানা বসে কাজ করার অভ্যাস, কিংবা একাকিত্বও মানসিক চাপ বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এ ছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান সরাসরি হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ায়। সিগারেট, ই-সিগারেট বা ভেপ যাই হোক না কেন, রক্তনালির স্বাভাবিক নমনীয়তা নষ্ট হয়। মদ্যপানেও বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ, ফলে হৃদ্রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, খাবার ও জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই হৃদ্যন্ত্রকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব।
 
                                                                         
                                                                        
 
			             
			             
				             
				             
				            
Leave a comment