যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী আন্দোলনকর্মী ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্কের স্ত্রী এরিকা কার্ক তার স্বামীর হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অ্যারিজোনায় আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফিনিক্সের নিকটবর্তী স্টেট ফার্ম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চার্লি কার্ককে “একজন মহান আমেরিকান বীর” ও “শহীদ” বলে আখ্যায়িত করেন।
এরিকা কার্ক আবেগঘন ভাষণে বলেন—“আমার স্বামী চার্লি তরুণদের বাঁচাতে চাইতেন, এমনকি সেই তরুণকেও, যে তার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি তাকে ক্ষমা করেছি। এটি যিশুখ্রিস্টের ইচ্ছা ছিল, আর চার্লিরও ইচ্ছা ছিল। ঘৃণার প্রতিক্রিয়া ঘৃণা হতে পারে না।”
৩১ বছর বয়সী চার্লি কার্ককে গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসন।
পুলিশ জানায়—রবিনসন, কার্ককে ঘৃণা করতেন এবং হত্যার আগে তার রুমমেটকে একাধিক বার্তা পাঠান। হত্যার দিন তিনি লিখেছিলেন, “আমার কাছে চার্লি কার্ককে শেষ করার সুযোগ এসেছে, আর আমি সেটা করতে যাচ্ছি।” রুমমেট পরে প্রশ্ন করলে রবিনসন জবাবে লেখেন, “আমি তার ঘৃণা আর সহ্য করতে পারিনি। কিছু ঘৃণা কখনো আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা যায় না।”
কার্ক যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল খ্রিস্টান রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি অভিবাসী, মুসলিম, আফ্রিকান-আমেরিকান ও ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ও বক্তব্যের জন্য সমালোচিত ছিলেন।
Leave a comment