জেরুজালেমের গ্রান্ড মুফতি মুহাম্মাদ আহমাদ হুসেইন ফিরিস্তিনের গাজায় আজ রোববার ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন । গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধায় চাঁদ দেখা যাওয়ার পর তিনি এই ঘোষণা দেন।
তবে আর সব দেশের মতো ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে না ফিলিস্তিনিরা। এবারও দেশটির নাগরিকরা স্বজনদের লাশ কাঁধে বয়েই ঈদ উদযাপন করবে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় দখলদার ইসরায়েল নির্বিচারে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, ঈদের জন্য কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
মুফতি হুসেইন বলেছেন, আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন, তিনি আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংস আগ্রাসন বন্ধ করেন। যেখানেই তারা (ফিলিস্তিনিরা) থাকুক না কেন। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যাতে তিনি আমাদের জাতিকে কল্যাণ, প্রজ্ঞা, গৌরব ও শক্তি দান করেন এবং আমাদের ভূমি, জেরুজালেম, আল-আকসা মসজিদ এবং আমাদের বন্দিদের দখলদার শক্তির শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সৌভাগ্য দান করেন।
এদিকে, গতকাল রাত ৮টার দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের আল-জনাইনা এলাকায় তারা স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য দক্ষিণ গাজায় একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ সম্প্রসারণ করা।
তবে ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অভিযানের ফলে রাফাহের সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং বহু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। আলজাজিরার সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাফাহয় ইসরায়েলি স্থর অভিযানে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেন্ট্রাল গাজায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল গাজায় সমস্ত খাদ্য সরবরাহ এবং সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানকার ফিলিস্তিনিরা এই ঈদে প্রীতিভোজ নিয়ে ভাবছেন না। তারা দিনটিতে ঠিকমতো খেতে পাবেন কি না, তাই নিয়েই দুশ্চিন্তা। তাদের দিনটি কাটবে প্রিয়জনদের হারানোর শোকে, তাদের কবর জিয়ারত করে। তাদের জন্য এবারের ঈদে আনন্দ আর ভোজ নেই, বেঁচে থাকাটাই তাদের উৎসব ।
Leave a comment