ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ইসলামি দেশগুলোর একটি যৌথ সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কাতারের রাজধানী দোহায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এখনই সময় মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার।”
কাতারে হামলার পর উত্তেজনা-
সম্প্রতি দোহার একটি স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। মধ্যপ্রাচ্যে এই ঘটনাকে নতুন হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইরাক। আল-সুদানির ভাষায়, “কাতারের মাটিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন বা সীমান্তের তোয়াক্কা করে না।”
যৌথ প্রতিরক্ষার প্রস্তাব-
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন সম্ভব। শুধু প্রতিরক্ষা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরি। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েলি আগ্রাসন কাতারে থেমে থাকবে না, তা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
দোহায় জরুরি সম্মেলন-
এ প্রেক্ষাপটে দোহায় জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কাতারে হামলার নিন্দা, প্রতিক্রিয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা একটি যৌথ ইসলামি সামরিক জোট সক্রিয় করার প্রস্তাব আলোচনায় আসবে। এই উদ্যোগটি প্রায় এক দশক আগে মিশর তুলেছিল।
আঞ্চলিক কূটনীতিতে টানাপোড়েন-
হামাস নিশ্চিত করেছে, দোহার হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হলেও শীর্ষ নেতৃত্ব অক্ষত রয়েছে। তবে এ ঘটনার পর উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আলোচনা জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশগুলো—যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত—এখন নতুন করে মতবিরোধের মুখে পড়ছে।
ইরাকের সতর্কবার্তা-
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর মতে, মুসলিম বিশ্বের হাতে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা যথেষ্ট। কিন্তু সময়মতো তা কাজে না লাগালে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই এখনই প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ।
সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি
Leave a comment