গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনায় ফেরার আগে দোহায় কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তার ওপর ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে—এমন শর্ত দিয়েছে কাতার। অন্যথায় দোহা আর কোনো ধরনের মধ্যস্থতা করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ।
বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, দোহায় এক বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এ দাবি তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র সামনে। পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গ নিয়ে রুবিওর সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার আলোচনায় বসেন।
এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, কাতার ইসরায়েলের কাছ থেকে এমন একধরনের ক্ষমাপ্রার্থনা মেনে নিতে পারে, যেখানে কেবল নিহত কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে দুঃখ প্রকাশ থাকবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন না করার প্রতিশ্রুতি থাকবে।
মার্কিন প্রশাসনের মতে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তির মতো জটিল বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার তেল আবিব ও দোহা উভয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে, যাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে আলোচনার নতুন পথ খুলে যায়।
Leave a comment