আজ ২৬ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’—যা বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (WIPO)–এর উদ্যোগে প্রতিবছর উদযাপন করা হয়। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো সৃষ্টিশীলতা, উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং উদ্ভাবকদের কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া।
২০০০ সাল থেকে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন শুরু হয়। এই দিনটি বেছে নেওয়ার পেছনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ রয়েছে—২৬ এপ্রিল ১৯৭০ সালে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা (WIPO) এর প্রতিষ্ঠা সনদ কার্যকর হয়েছিল। তাই স্মরণীয় এই দিনে সারা বিশ্বে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও মেধাসম্পদের গুরুত্বকে তুলে ধরতেই দিনটি নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিবছর বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য থাকে। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য হলো “Innovate for a Greener Future”—অর্থাৎ একটি সবুজ ভবিষ্যতের জন্য উদ্ভাবন। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার ভূমিকাকে সামনে আনা হয়েছে।
বিশ্বের নানা দেশে এ দিনটিকে ঘিরে রয়েছে নানা আয়োজন। বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সেমিনার, আলোচনা সভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাসম্পদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। তবে এসব উদ্ভাবনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী মেধাসম্পদ আইন ও জনসচেতনতা। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস সেই সচেতনতার বার্তা বহন করে সারা পৃথিবীতে।
Leave a comment