গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে ঘটে গেছে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দুই পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে মনির মোল্লা (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পারাবর্তা এলাকার বন বিভাগের একটি নির্জন জায়গা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মনির মোল্লা ওই এলাকার মৃত হাশেম মোল্লার ছেলে। স্বভাব শান্ত ও পরিশ্রমী কৃষক হিসেবে তিনি স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ছিলেন। হঠাৎ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন এলাকাবাসী পারাবর্তার বন বিভাগের একটি খোলা স্থানে মরদেহ দেখতে পান। প্রথমে তারা ভেবে নেন এটি কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে। তবে কাছে গিয়ে দেখেন মরদেহটি ক্ষতবিক্ষত এবং দুই পা শরীর থেকে আলাদা। এরপরই তারা থানায় খবর দেন।
উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
এভাবে খোলামেলা জায়গায় এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, মনির মোল্লাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর নির্জন স্থানে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,“মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহত ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তার দুই পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ঘটনাটি স্পষ্টতই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থলের আশপাশে অনুসন্ধান চলছে এবং সম্ভাব্য প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a comment