ফিলিস্তিন সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ বছরের তিন ধাপের একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এ পরিকল্পনার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু সূত্রে জানা গেছে, ফিলিস্তিনি সরকার আরব দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা বলেন, “প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা অঞ্চল বিপর্যস্ত হয়েছে। লাখো মানুষ গৃহহীন এবং সমগ্র অঞ্চল কয়েক দশক পেছনে গেছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠনের জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে প্রাথমিক মানবিক ও অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর মেয়াদ হবে ছয় মাস এবং ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় ধাপ তিন বছরব্যাপী চলবে, যা পুনর্গঠনের ভিত্তি স্থাপন করবে। এই ধাপের জন্য প্রয়োজন হবে ৩০ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় এবং শেষ ধাপে গাজার দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন হবে।
মুস্তাফা আরও বলেন, “পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যুদ্ধশেষের এক মাসের মধ্যে মিসরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে, যেখানে গাজার পুনর্গঠন নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।”
ফিলিস্তিনের রাজধানী রামাল্লায় সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে গাজার অবকাঠামো পুনর্গঠন হবে, মানবিক সহায়তা পৌঁছাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
Leave a comment