কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে গৃহকর্তা করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মোসা তাসলিমা বেগম (৪০)। নিহত করিম ভূঁইয়ার দুই ছেলে, তানজিদ (১৯) ও তৌহিদ (২১) এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ। নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের আবুল কাশেম ভূঁইয়া ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে।
পুলিশ জানায়, করিম ভূঁইয়া ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পর তার ভাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোজাম্মেল, ইসরাফিল ও হাক্কানী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রধান আসামি তাসলিমা বেগম আদালতে জানান, তার স্বামী করিম ভূঁইয়া প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের অমানুষিক নির্যাতন করতেন। বিষয়টি ভাইদের জানালে তারা ১৩ আগস্ট করিম ভূঁইয়াকে ডেকে নেন। একপর্যায়ে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে কথা কাটাকাটির সময় মোজাম্মেল হক লাঠি দিয়ে করিম ভূঁইয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর মরদেহ প্রথমে খালে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন হাত-পা বেঁধে মোজাম্মেলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনার ৩৫ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর হাত-পা বাঁধা গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া জানান, ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে আখউড়ার খড়মপুর মাজার এলাকায় যাওয়ার কথা বলে করিম নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর থানায় জিডি করা হয়। মোজাম্মেলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩৫ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান। দেবিদ্বার থানার ওসি শামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, নিখোঁজের এক মাস পর একটি ফোন সূত্রে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Leave a comment