শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত শাক খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক শুধু ভাতের স্বাদ বাড়ায় না, বরং ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
পুষ্টিবিদরা অবশ্য পরামর্শ দেন—শাক অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে এবং হালকা ভাপে বা কম সিদ্ধ করে রান্না করাই উত্তম। অতিরিক্ত সিদ্ধ করলে এর ভিটামিন ও খনিজ নষ্ট হয়ে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি শাক প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকবে—
১. পালংশাক
আয়রন, ভিটামিন এ, সি ও কে-এর সমৃদ্ধ উৎস পালংশাক। এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে, হাড় মজবুত রাখে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
২. পুঁইশাক-
ফাইবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাক হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আলু, বেগুন বা মাছের সঙ্গে রান্না করা পুঁইশাক খাবারে বিশেষ স্বাদ আনে।
৩. কলমিশাক-
ভিটামিন এ, সি ও খনিজপদার্থে ভরপুর কলমিশাক শরীরের প্রদাহ কমায়, রক্ত পরিশোধন করে এবং ত্বককে সতেজ রাখে। ভাজি বা ডালের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।
৪. মেথিশাক-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মেথিশাক রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি গর্ভবতী নারীর জন্যও উপকারী ।
৫. নোটেশাক (আমরান্থ শাক)
ভিটামিন সি, আয়রন ও ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ এই শাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং চুল ও ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
👉 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাবারে এসব শাক অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়বে।
Leave a comment