গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত গোলাবর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৯২ জন। নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায়। বাকি ২৮ জন নিহত হয়েছেন খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার হাসপাতালগুলোতে ৮৬ জনের মরদেহ এবং ৪৯২ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। তবে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মে প্রথম গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা এবং তারপর থেকে নিয়মিতই এটি ঘটছে। ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২ হাজার ১২৩ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৬১৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ হাজার ৭৪৪ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯ জন ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
Leave a comment