২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার কুড়িল রেললাইনের এক বাঁকে ছবি তুলতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান আলোকচিত্রী ইশতিয়াক আহমেদ। রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার পেছনে বাঁক নিয়ে এগিয়ে আসা ট্রেনের দৃশ্য ধারণের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তিনি। এই এলাকায় দুটি লাইনে একসঙ্গে দুটি ট্রেন চলতে পারে। ইশতিয়াক ওই দৃষ্টিনন্দন মুহূর্তকে ধারণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। ছবি তুলতে গিয়ে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন পেছনে আরেকটি ট্রেনও আসতে পারে। এক ট্রেনের শব্দে অন্য ট্রেনের আগমন টের পাননি। খালাতো ভাই পেছন থেকে সতর্ক করলেও সেই চিৎকার ট্রেনের গর্জনে হারিয়ে যায়। মুহূর্তেই ট্রেনের নিচে চলে যান ইশতিয়াক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনা শুধু একজন প্রতিভাবান আলোকচিত্রীর অকাল মৃত্যু নয়, বরং এটি আলোকচিত্রীদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তাও বটে। বিশেষত যারা প্রকৃতিতে, নদীতে, পাহাড়ে, বনে কিংবা ছাদে উঠে ছবি তোলেন, তাঁদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উদাহরণ হয়ে থাকল।
আলোকচিত্রীরা প্রায়শই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাঁরা ভালো একটি ফ্রেম বা বিরল মুহূর্তের জন্য নিজের নিরাপত্তাকে গৌণ মনে করেন। বিশেষ করে যারা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে যুক্ত, তাঁদের ঝুঁকি বহুগুণে বেশি। কারণ পশুপাখি বা পাখির ছবি তুলতে গিয়ে অনেককে নদীতে নামতে হয়, উঁচু ছাদে উঠতে হয় বা বনের গভীরে প্রবেশ করতে হয়। কেউ কেউ পাখিকে ‘আই লেভেল’-এ তুলতে পানিতে নামেন। আবার কেউ কেউ দূর থেকে ছবি তুলতে গিয়ে পেছাতে পেছাতে নদীতে পড়ে যান। কেউ সাঁতার জানেন না, কেউ চোরাবালিতে আটকে পড়েন, কেউ আবার বিদ্যুতের তার বা ছাদের নিরাপত্তাহীন রেলিং অতিক্রম করেন। এই অবস্থায় একটি অসাবধানতাই হতে পারে প্রাণঘাতী।
নদীর চরে আলোকচিত্রীরা প্রায়ই রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপের আশেপাশে ছবি তোলেন। ছবি তোলার সময় সচেতন না থাকলে সাপের কামড়ে মুহূর্তেই মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়। অনেক সময় চোরাবালির বিষয়ে ধারণা না থাকায় নদীতে নামার পর কেউ কেউ আটকে পড়েন। এর চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু হতে পারে না।
শীতকালে নদীতে ডুবোচরের ওপর দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো প্রবল বেগে চলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে। ছবির প্রতি একাগ্রতা ও আবেগ অনেক সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তার প্রতি দৃষ্টি ক্ষীণ করে দেয়। বিশেষ করে যারা প্রাইম টেলিলেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ, তাঁরা প্রায়শই পেছাতে থাকেন ভালো ফ্রেম ধরতে গিয়ে, ফলে তাঁদের চারপাশের পরিবর্তন মনেই থাকে না।
বনের পাখি বা বন্যপ্রাণীর ছবি তুলতে গিয়ে অনেকে নিজেদের সীমা অতিক্রম করেন। সুন্দরবনে কেউ কেউ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবিও তোলার চেষ্টা করেন। এই ধরনের প্রবণতা
Leave a comment