রাজধানীর কদমতলী থানায় দায়ের করা এক মামলায় এক নারীকে বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ফাহিম হাসান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১০ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, ৮ মার্চ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় আরেক আসামি ইয়াসিন আরাফাত।
ভুক্তভোগী নারী ৭ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কদমতলী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি জানান, তাঁর স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং ঋণের জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হওয়া এক ব্যক্তি ‘প্রিন্স’ নামে টিকটক আইডি থেকে তাঁকে বারবার খুদে বার্তা পাঠাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর মা সুদে টাকা ধার দেন এবং সাহায্য করতে পারবেন।
পরবর্তীতে ৫ মার্চ প্রিন্স নামের ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগী নারীকে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে কোনো নারীকে দেখতে না পেয়ে তিনি বেরিয়ে আসতে চাইলে দুজন ব্যক্তি দরজা বন্ধ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে বাসায় ফিরে তিনি ঘটনাটি স্বামীকে জানান এবং ৭ মার্চ থানায় গিয়ে মামলা করেন।
মামলায় তিনি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন—ফাহিম হাসান, প্রিন্স ও ইয়াসিন আরাফাত। ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১০ বৃহস্পতিবার মাতুয়াইলে অভিযান চালিয়ে ফাহিম হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কদমতলী থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. সাফায়েত হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগী নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। পুলিশ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a comment