২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে পেনাল্টির নিয়মে বড় পরিবর্তনের চিন্তা করছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএফএবি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পেনাল্টিতে নেওয়া শট গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে কিংবা বল পোস্ট বা ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে খেলোয়াড় আর ফিরতি শট নিতে পারবে না। তাৎক্ষণিকভাবে খেলা গোল কিক দিয়ে শুরু হবে। অর্থাৎ, পেনাল্টিতে একবারই শট নেওয়ার সুযোগ থাকবে, দ্বিতীয়বার নয়।
ফুটবল ইতিহাসে এই পরিবর্তন হতে যাচ্ছে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যা খেলায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে আইএফএবির সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানাচ্ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ ও ‘মেইল অনলাইন’। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২০ ইউরোর সেমিফাইনালে হ্যারি কেইনের সেই গোলের কথা—যেখানে প্রথম শট গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি শটে গোল করেছিলেন কেইন।
নতুন নিয়ম কার্যকর হলে এমন সুযোগ আর মিলবে না। নিয়মটি কার্যকর হলে পেনাল্টিতে গোল হলে খেলা মাঝমাঠ থেকে শুরু হবে, না হলে প্রতিপক্ষ দল গোল কিক পাবে। এতে করে গোলকিপারের জন্য এটি ‘দ্বিগুণ শাস্তি’ হবে না বলেই মনে করছে আইএফএবি। কারণ, বর্তমান নিয়মে প্রথমবার ঠেকিয়ে দেওয়ার পরও আবার গোল খাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
নতুন নিয়মটি কার্যকর করতে হলে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটি আইএফএবি’র বার্ষিক সভায় অনুমোদন পেতে হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে এই নিয়মসহ অন্যান্য পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আইএফএবি’র কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি ভিএআর ব্যবহারের ক্ষেত্রও আরও বিস্তৃত করার প্রস্তাব তোলা হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং কর্নারের সিদ্ধান্তে ভিএআরের হস্তক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। পেনাল্টির নিয়মে পরিবর্তন আনার এই উদ্যোগ ফুটবলকে আরও প্রযুক্তিনির্ভর এবং সুশৃঙ্খল করার অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
৪৮ দলের অংশগ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপে যদি এই নিয়ম বাস্তবায়ন হয়, তবে তা হতে যাচ্ছে ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
সূত্র: রয়টার্স।
Leave a comment