বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, যে দলের জন্য তিনি গত ১৫ বছর লড়াই করেছেন, আজ সেই দলেরই কর্মীদের কাছ থেকেই ধাক্কা খেয়েছেন।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে শুনানি চলাকালে রুমিনের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
রুমিন বলেন, “একজন পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন। আমি একজন নারী, এ অবস্থায় আমার লোকজন নিশ্চুপ থাকতে পারেনি। পরে তাদেরও মারধর করা হয়েছে, তখন তারা জবাব দিয়েছে। ১৫ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। আজকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যেই দলের জন্য এত বছর লড়লাম, আজ তারাই আমাকে ধাক্কা দেয়—এটা সত্যিই বেদনাদায়ক।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দিকেও আঙুল তোলেন রুমিন। তিনি দাবি করেন, ওই প্রার্থী অতীতে মানুষকে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছেন এবং এবারও গুণ্ডা-সন্ত্রাসী নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রবেশ করেছেন। “এটি খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনে এসে বাহিনী দেখাবে না, কিন্তু তা হয়নি।
এনসিপি কর্মীদের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, “উনি পরিচিত মুখ নন, জামায়াত না এনসিপি তা আমি জানি না। তবে তাদের পক্ষ থেকেই প্রথমে আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।”
সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, দল সবসময়ই ২০০৮ সালের আগের সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি করে আসছে।
তার ভাষায়, “আমরা মনে করি ২০০৮-এর আগে যে সীমানা ছিল, সেটিই গ্রহণযোগ্য। গত ১৫ বছর একটি ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের সুবিধামতো সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা জনগণের নয়। তাই আমরা পুরনো সীমানায় ফেরার দাবি করছি।”
নিজে আইনজীবী পরিচয়ে যুক্তি তুলে ধরে রুমিন জানান, তিনি নিজেই শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মামলা উপস্থাপন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত বাস্তবতা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিই বহাল থাকবে।”
Leave a comment