১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নুরুল হক নুর ছাড়পত্র নেন। তবে আপাতত তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাজধানীতে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে আহত হন নুরুল হক নুর।
ঘটনার পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে পরে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেছেন, নুরুল হক নুরকে পরিকল্পিতভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “নুর ভাই এখন কিছুটা সুস্থ। তবে পুরোপুরি শারীরিক সুস্থতার জন্য তাকে আরও কিছুদিন চিকিৎসা নিতে হবে। আমরা আশা করছি তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন।”
২০১৮-১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন নুরুল হক নুর। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন আন্দোলন, মানবাধিকার ইস্যু ও সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার কারণে তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
১৮ দিনের চিকিৎসা শেষে নুরুল হক নুর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেও তার শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার আরও বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।
Leave a comment