সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বুধবার রিয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই চুক্তিতে সই করেন। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন উভয় দেশের বিরুদ্ধেই আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার চুক্তির খবর অবগত রয়েছে এবং এটিকে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চুক্তির সম্ভাব্য প্রভাব খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
চুক্তিকে ঘিরে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, এর লক্ষ্য দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের যৌথ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন। তারা এটিকে কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় বলে দাবি করেছে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত এবং কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর এমন চুক্তি স্বাক্ষর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, আর এ কারণেই দিল্লি বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে।

Leave a comment