আজ (২১ সেপ্টেম্বর, রোববার) রাতের দিকে চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ কী?
• সূর্যগ্রহণ (কুসুফ): চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যকে আংশিক বা সম্পূর্ণ আড়াল করে।
• চন্দ্রগ্রহণ (খুসুফ): পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে, তখন চাঁদ অল্প সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়।
কোরআনে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের বর্ণনা-
পবিত্র কোরআনে সূর্য ও চন্দ্রকে আলোকিত সৃষ্টি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থান ও গতিপথ নির্ধারণের মাধ্যমে মানুষের জন্য সময় এবং দিকনির্দেশনা স্থাপন করা হয়েছে।
• সূরা ইউনুস, আয়াত ৫: সূর্য তেজোদীপ্ত, চন্দ্র আলোকময়; তাদের অবস্থান নির্ধারিত, যাতে সময় গণনা করা যায়।
• সূরা নুহ, আয়াত ১৬: “আল্লাহ চাঁদকে আলোরূপে, সূর্যকে প্রদীপরূপে স্থাপন করেছেন।”
• সূরা ইব্রাহিম, আয়াত ৩৩: সূর্য ও চন্দ্র মানুষের কাজে নিয়োজিত; রাত ও দিনও কাজে লাগানো হয়েছে।
হাদিসে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ
রাসূলুল্লাহ (সা.) সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে দেখতেন।
• মুগিরা ইবনু শুবা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী পুত্র ইব্রাহিমের মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ব্যাখ্যা করেন, এটি কোনো মৃত্যুর কারণে নয়, বরং আল্লাহর নিদর্শন, মানুষের সতর্কতার জন্য। (বুখারি ১০৪৩; মুসলিম ৯১৫)
• হজরত আবু বকর (রা.) বর্ণনা করেন, সূর্যগ্রহণ শুরু হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
• হজরত আবু মুসা (রা.) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু ও দীর্ঘ সিজদার সঙ্গে নামাজ পড়তেন এবং দোয়া করতেন, মানুষ যেন আতঙ্কিত না হয়। (মুসলিম ১৯৮৯)
সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময়ে মুসলিমদের করণীয়
(.)আতঙ্কিত না হওয়া।
(.)নামাজ আদায় করা। (দুই রাকাত কুসুফ বা খুসুফ নামাজ)
(.)আল্লাহর জিকির, দোয়া ও ইস্তিগফার করা।
(.)মৃত বা জীবিত কারও কারণে এই ঘটনা ঘটেনি বুঝে আত্মবিশ্বাস রাখা।
Leave a comment