জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে ঘিরে “সমকামিতার অভিযোগে অব্যাহতি” দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
🔸 পটভূমি
১২ অক্টোবর এনসিপির ফেসবুক পেজে মুনতাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সাময়িক অব্যাহতির চিঠি প্রকাশ করা হয়। এরপর কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, “সমকামিতার অভিযোগে” তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত পোস্টে একটি ভিন্ন ব্যক্তির ছবি সংযুক্ত করা হয়।
🔸 অনুসন্ধানের ফলাফল
তদন্তে দেখা গেছে,
• এনসিপির চিঠিতে “সমকামিতা” নয়, বরং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
• প্রচারিত ছবিটি প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মদ মুনতাসির রহমান নামে এক ব্যক্তির, যিনি আগে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ছিলেন এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে সমালোচনার পর দল থেকে বাদ পড়েন।
• ভুয়া ছবিটি তাঁরই পুরোনো ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অনুসন্ধানে পাওয়া মুনতাসির মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেখা যায়—তিনি নিজেই এনসিপির কারণ দর্শানোর নোটিশটি শেয়ার করেছেন এবং লিখিত জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর প্রোফাইলের ছবির সঙ্গে প্রচারিত ছবির কোনো মিল নেই।
🔸 প্রাসঙ্গিক তথ্য
প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনতাসির মাহমুদকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করার ঘটনায়। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি সংগঠনের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন। কোনো প্রতিবেদনে “সমকামিতা” সংক্রান্ত অভিযোগের উল্লেখ নেই।
✅ উপসংহার
🔹 মুনতাসির মাহমুদ ও মুনতাসির রহমান — দুজন ভিন্ন ব্যক্তি।
🔹 মুনতাসির মাহমুদকে সমকামিতার অভিযোগে নয়, বরং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
🔹 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও দাবিগুলো ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।
Leave a comment