শীত উপেক্ষা করে লালমনিরহাটের কৃষকরা বোরো ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি অনেক কৃষক এখনও গরু দিয়ে জমি চাষ করছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চাষিরা আগাম চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন, যা ৩০ জানুয়ারির পর পুরোদমে চলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন জানিয়েছেন, চলতি বোরো মৌসুমে ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত আমন মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বোরো চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
কৃষকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাষের খরচ কিছুটা বেড়ে গেছে। সার, বীজ, কীটনাশক এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বিঘাপ্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। তবুও তারা উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান যেমন ইস্পাহানি সেভেন, এসিআই বন্ধু, এবং ব্রি ধান ৭৪ বেশি পরিমাণে রোপণ করছেন।
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ আলী জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করছেন। আমন মৌসুমে ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি এবার আগেভাগেই বোরো চাষ শুরু করেছেন। তবে শ্রমিকদের মজুরি বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে।
লালমনিরহাট সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সোহায়েল আহমেদ বলেন, সদর উপজেলায় এ বছর ১১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা থেকে ৪৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের সহায়তায় আগাম চারা রোপণের ফলে ফসলের উৎপাদন ভালো হবে এবং রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকেরা এ বছর বোরো ধান চাষের মাধ্যমে আরও ভালো ফলন পাওয়ার আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
Leave a comment