লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় মাকে বেঁধে রেখে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মনিরুল বাসার লিমন (২৪), ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা রামগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মনিরুল বাসার লিমন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে মনিরুল বাসার লিমন তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে চুরির উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করেন । বাড়িতে ঢুকে তারা প্রথমে ভুক্তভোগীর মাকে জোরপূর্বক হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন, যাতে তিনি চিৎকার করতে বা সাহায্য চাইতে না পারেন। এরপর মায়ের সামনেই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে আত্মরক্ষায় সক্ষম ছিল না। ঘটনার সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগীর মাকে বাঁধন থেকে মুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত মনিরুল বাসার লিমন নয়নপুর গ্রামের মৃত সেলিম হোসেনের ছেলে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,“ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
Leave a comment