সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য ঘিরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে এর মধ্যেই সীমান্ত নিয়ে বক্তব্য দেন বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
বিজেপি নেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ২০ তারিখের পর অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। সেই সময় কী ঘটবে বা কে কোথায় থাকবে, তা বলা মুশকিল। মোহাম্মদ ইউনূসের সরকার বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের বিরুদ্ধে উসকানোর চেষ্টা করছে।”
শেখ হাসিনার সময়ের নীতি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। মোহাম্মদ ইউনূসের সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় মৌলবাদীদের সঙ্গে আপস করছে, যা হিন্দুদের জন্য ক্ষতিকর।”
ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে কিনা, এই প্রশ্নে তিনি জানান, “এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সংবিধানে সেক্যুলারিজম ও সোশ্যালিজমের মতো ধারণা কংগ্রেস জরুরি অবস্থায় চালাকি করে যুক্ত করেছিল।”
নেহেরু ও গান্ধীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তাদের কারণেই দেশ বিভক্ত হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষের হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, আর মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।”
এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি শীঘ্রই ভারত হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে? বিজেপি নেত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়ালেও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
সীমান্ত উত্তেজনার পাশাপাশি, হিন্দু রাষ্ট্র নিয়ে এই বিতর্ক দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a comment