কৈশোরে বা স্কুল–কলেজে ওঠার সময় অনেকেই প্রথম সুগন্ধির অভিজ্ঞতা পান বডি স্প্রের মাধ্যমে। পরে পারফিউমকে ধরা হয় আরও পরিশীলিত বিকল্প হিসেবে। অনেকে মনে করেন, বডি স্প্রে কেবল তরুণদের জন্য, আর পারফিউম বড়দের জন্য। তবে বিষয়টি এতটা সরল নয়। দুটির প্রধান পার্থক্য হলো সুগন্ধি তেলের ঘনত্বে।
বডি স্প্রে হালকা, এতে তেলের পরিমাণ প্রায় ৩ শতাংশ, বাকিটা পানি ও অ্যালকোহল। ফলে এর সুগন্ধ দুই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্যই এটি উপযোগী। কাপড়ে স্প্রে করলে স্থায়িত্ব বাড়ে, তবে সূক্ষ্ম কাপড়ে দাগ পড়তে পারে।
অন্যদিকে পারফিউমে সুগন্ধি তেলের ঘনত্ব ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। তাই এর ঘ্রাণ ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি স্থায়ী হয়। বিশেষ অনুষ্ঠান বা দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার জন্য এটি আদর্শ। তবে অল্প পরিমাণে কবজি, গলা বা কানের পেছনে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। দামও তুলনামূলক বেশি।
দুটি একসঙ্গে ব্যবহারও সম্ভব, যাকে বলা হয় ফ্রেগ্রান্স লেয়ারিং। প্রথমে শরীরে বডি স্প্রে ব্যবহার করলে এটি ভিত্তি তৈরি করে, তার ওপর পালস পয়েন্টে পারফিউম দিলে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়। একই ধরনের ঘ্রাণ বেছে নিলে মিশ্রণ আরও আকর্ষণীয় হয়।
শেষ পর্যন্ত পছন্দ নির্ভর করছে প্রয়োজন, বাজেট ও উপলক্ষের ওপর। প্রতিদিনের জন্য হালকা বিকল্প চাইলে বডি স্প্রে, আর বিশেষ অনুষ্ঠান বা বাড়তি পরিশীলিত অনুভূতির জন্য পারফিউমই যথাযথ।
Leave a comment