কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় নিজ ঘরে জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের সালুয়াদি ভিটাপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নৃশংস এই ঘটনায় জেসমিনের স্বামীসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জেসমিনের স্বজনরা ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় বাড়ির আশপাশে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে এলে জেসমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেসমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর গলা ও ঘাড়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামীসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তের স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ওসি আরো বলেন, “আমরা এখনো ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। হত্যার কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে। নিহতের স্বামীসহ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহত জেসমিনের পরিবার দাবি করেছে, পারিবারিক কলহের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
Leave a comment