ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
৮ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনে অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়া ‘কনশানস’ নামের জাহাজে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগারে, যেখানে কয়েকদিন তাকে আটক রাখা হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর ড. শহিদুল আলম টার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK6921 ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে একইদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
শহিদুল আলম ছিলেন সেই নৌবহরের অন্যতম সদস্য, যারা গাজার অবরুদ্ধ জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং ইসরায়েলি দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানাতে এই যাত্রায় অংশ নেন। “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা” শীর্ষক এই উদ্যোগে ৩০টিরও বেশি দেশের মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও রাজনীতিকরা অংশ নেন।
মোট ৯টি নৌযানে গঠিত এই বহরটি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তবে গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী বহরটির ওপর অভিযান চালায় এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে আটক করে সামরিক কারাগারে নিয়ে যায়।
ড. শহিদুল আলম বহু বছর ধরে মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত রয়েছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম খ্যাতিমান আলোকচিত্রী এবং “ড্রিক পিকচার লাইব্রেরি” ও “পাঠশালা মিডিয়া ইনস্টিটিউট”-এর প্রতিষ্ঠাতা।
তার দেশে ফেরার সংবাদে মানবাধিকারকর্মী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি আটক থেকে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
Leave a comment