তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (স্থানীয় সময়) গভীর রাতে সাগরে সৃষ্ট এই ভূমিকম্পে রাজধানী তাইপেসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের (সিডব্লিউএ) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে ইয়িলান কাউন্টির উপকূলীয় এলাকায় সাগরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭৩ কিলোমিটার গভীরে এর কেন্দ্রস্থল ছিল। ইয়িলান শহরের উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে আনুমানিক ৩২ কিলোমিটার দূরে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের প্রভাবে রাজধানী তাইপের বিভিন্ন ভবন কেঁপে ওঠে। হঠাৎ কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও স্থানীয়দের কম্পনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে দেখা যায়।
তাইওয়ানের জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মাঠপর্যায়ে কাজ করা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বরও তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় ভূপৃষ্ঠের ৩১ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে এবং কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্বাঞ্চলীয় শহর হুয়ালিয়েন থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে সাগরে।
উল্লেখ্য, তাইওয়ান দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দ্বীপটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আর ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
সূত্র: রয়টার্স
Leave a comment