পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির সানসিল্কের আমন্ত্রণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা আসেন। ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই বাংলাদেশি ভক্তদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
হানিয়ার ঢাকায় আগমনকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে ছিল ব্যাপক কৌতূহল। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো থেকে শুরু করে ভক্তদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার মুহূর্তগুলো দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
ঢাকার রাস্তায় রিকশা ভ্রমণ ও ঘোরাঘুরি-
এই সফরে হানিয়ার সঙ্গী ছিলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ফুড ভ্লগার ইফতেখার রাফসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তারা দুজন একসঙ্গে রিকশায় ঘুরছেন এবং গল্প করছেন। এ ছাড়া আহসান মঞ্জিল ঘুরে দেখা ও সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় তার সঙ্গে ছিলেন টিম মেম্বার, আয়োজক ও অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সাররা।
নাঈম-শাবনাজ কন্যার সঙ্গে আড্ডা-
ঢাকায় থাকাকালীন হানিয়ার দেখা হয় নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম ও নায়িকা শাবনাজের বড় মেয়ে নামিরা নাঈমের সঙ্গে। তার পরিচয় জেনে হানিয়া বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের আড্ডার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।
এক্সক্লুসিভ অনুষ্ঠান ও ফটোশুট-
দিনভর ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় একটি পাঁচতারকা হোটেলে সানসিল্কের বিশেষ আয়োজনে অতিথি হিসেবে যোগ দেন হানিয়া। অনুষ্ঠানে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ মেলে। ‘গেট রেডি উইথ মি’ ভিডিওর মাধ্যমে নির্বাচিত ভক্তরা হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ ছাড়াও সানসিল্ক আয়োজিত এক্সক্লুসিভ ফটোশুট এবং দেশীয় ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে একটি মিট-অ্যান্ড-গ্রিট সেশনে অংশ নেন তিনি। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পাশাপাশি সানসিল্কের নতুন “গার্লস শাইন প্রপোজিশন” নিয়েও কথা বলেন, যা অনেককে অনুপ্রাণিত করে।
ঢাকাকে বিদায়-
সংক্ষিপ্ত সফর শেষে পাকিস্তানে ফিরে গেলেও হানিয়ার সফরের স্মৃতি ও প্রভাব এখনও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় রয়েছে। রিকশায় ভ্রমণ থেকে শুরু করে ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ—প্রতিটি মুহূর্ত ভক্তরা এখনও শেয়ার করছেন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে।
হানিয়া আমির: দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় মুখ-
১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্ম নেওয়া হানিয়া অল্প সময়েই নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব কনটেন্টের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ‘জানান’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আন্না’, ‘কাভি মে কাভি তুম’ ও ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের হৃদয় জয় করেন। সম্প্রতি ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। নূর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম অনুসারী সংখ্যা প্রায় দুই কোটি।
ঢাকার সংক্ষিপ্ত সফরে হানিয়া আমির প্রমাণ করেছেন, তারকারা শুধু পর্দার চরিত্রে নয়, বাস্তব জীবনেও ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেন। তার সফর ভক্তদের জন্য যেমন স্মরণীয়, তেমনি ঢাকার বিনোদন অঙ্গনে একটি বিশেষ ছাপ রেখে গেছে।
Leave a comment