যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়–সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়ন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি জোট। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসংক্রান্ত স্বাধীনতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সরকারি তহবিল স্থগিত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দান ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে দাবি করা হয়েছে, সরকারের আর্থিক হুমকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ক্ষতিকর ও বেআইনি। পাশাপাশি ইতিমধ্যে স্থগিত হওয়া তহবিলগুলো অবমুক্ত করারও আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলাকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভয় দেখিয়ে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাদের দাবি, এসব হুমকি পাঠ্যক্রম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচির প্রতি সরাসরি আঘাত।
হোয়াইট হাউস এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে প্রশাসন অভিযোগ তুলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলাবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ইহুদিবিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে। সেই অভিযোগে তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কারণ দেখিয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে সরকার।
সমালোচকেরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন খর্ব করছে। নাগরিক অধিকারকর্মীদের মতে, এসব পদক্ষেপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বাকস্বাধীনতা ও একাডেমিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা। এর অধীন লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাস গত আগস্টে জানিয়েছিল, তাদের ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের তহবিল সরকার স্থগিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জেমস মিলিকেন সোমবার বলেন, ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটিকে ইতিহাসের অন্যতম বড় সংকটে ঠেলে দিয়েছে।
Leave a comment