জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দিন আবাসিক হলে অবৈধভাবে অবস্থান করার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহানকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে সোপর্দ করা হয়।
হাফিজুর রহমান সোহান ইংরেজি বিভাগের ৩৬ ব্যাচের (২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ) সাবেক শিক্ষার্থী। জানা গেছে, তিনি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মুরাদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। মুরাদ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহান বুধবার রাত থেকেই হলে অবস্থান করছিলেন এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরুর পর হল প্রাঙ্গণে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
অবৈধভাবে হলে প্রবেশ ও অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান সোহান বলেন, “আমি রাতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। শরীর খারাপ লাগায় হলে এসে শুয়ে পড়ি।” তবে হলে প্রবেশ বা অবস্থানের অনুমতি নেননি বলে তিনি স্বীকার করেন।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের সময় সাবেক শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান করা আচরণবিধির লঙ্ঘন। তাই আমরা তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন,
“আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
৩৩ বছর পর আয়োজিত জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, ভোটের দিন ক্যাম্পাসে কোনো বহিরাগত বা প্রাক্তন শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবেন না। এই প্রেক্ষাপটে হলে ছাত্রদল নেতার অবস্থান ও পরবর্তী আটক ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
Leave a comment