বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনী প্রস্তুতি মূল্যায়নে জাতিসংঘের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। দলটি ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবে।
সফরের প্রথম দিনেই জাতিসংঘের দলটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বৈঠকে জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, “নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা সরকারের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না।”
২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে দূরে থাকা জাতিসংঘ ২০১৮ সালের নির্বাচনে সীমিত সহযোগিতা প্রদান করে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য কারিগরি সহায়তা ও সরঞ্জাম সরবরাহে প্রস্তুত।
গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াত, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন যে নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ অথবা জুন ২০২৬-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। এই আলোচনায় তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের ভূমিকা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বিভিন্ন দলের মতামত সংগ্রহ করবে।
এই বৈঠকের মাধ্যমে জাতিসংঘ একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে চায়। তবে, আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনায় জাতিসংঘের বার্তা এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হবে, তা এখনো সবার আগ্রহের বিষয়।
Leave a comment