চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার ফৌজদারহাট টোল রোড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে ফৌজদারহাট এলাকার চিটাগাং ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের হালিশহর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন,“দুর্ঘটনায় নিহত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অতিরিক্ত গতি বা ভারসাম্য হারানোর কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওসি জাকির হোসেন জানান, সড়কের ওই অংশটি তুলনামূলক ফাঁকা থাকায় রাতে অনেক সময় মোটরসাইকেল আরোহীরা দ্রুতগতিতে চলাচল করেন। তদন্ত শেষে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও ফৌজদারহাট এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। মহাসড়ক ও টোল রোড এলাকায় মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ, ওভারস্পিডিং এবং হঠাৎ লেন পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, “রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর অভাব, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের শিথিলতা এবং হেলমেট ব্যবহার না করার প্রবণতাই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ।” বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই ছিল সর্বাধিক।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আবারও সড়ক নিরাপত্তা ইস্যুকে সামনে এনেছে। পুলিশ বলছে, তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট হবে এবং ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a comment