ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৬২ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন। শুধু মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছেছে ৯৮ জনের মরদেহ এবং আহত হয়েছেন ৩৮৫ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিহত-আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় তাদের উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
এদিন খাদ্য ও ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে অন্তত ৭ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হন। এ নিয়ে গত দুই বছরে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫০৪ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৪৮ জনে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ কঠোরভাবে সীমিত করেছে। এর ফলে খাদ্যাভাব ও অপুষ্টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বুধবারই খাদ্য ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩২ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ১৪৬ জন শিশু।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (ICJ) গণহত্যা মামলার মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।
তবুও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে হামলা থামেনি। চলমান হত্যাযজ্ঞের নিন্দায় বিশ্বব্যাপী নতুন করে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
Leave a comment