গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিউলী বেগম (২৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ফরিদ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী শিউলী বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ কলাবাগানে ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিউলী বেগম বোগদহ সদর কলোনি এলাকার বাসিন্দা ড্রাইভার শরীফ মিয়ার মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ফরিদের নির্যাতনের শিকার হতেন বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদ ও শিউলীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ফরিদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিউলীর গলা কেটে দেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে মরদেহ বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
নিহত শিউলীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ফরিদ উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে শিউলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছিলেন। তাদের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশে পারিবারিক কলহ ও গৃহহিংসার ঘটনায় নারীর মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদন বলছে, দাম্পত্য দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে যৌতুক ও সামাজিক বিরোধের কারণে প্রতিবছর অসংখ্য নারী প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজিক সচেতনতা, দ্রুত বিচার এবং ভুক্তভোগীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো জরুরি। এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
Leave a comment