২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় খুলনা বিভাগের ২০টি কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। এর মধ্যে খুলনার চারটি কলেজসহ যশোর, মেহেরপুর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন। তিনি জানান, শূন্য পাস করা কলেজগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া মডেল মহিলা কলেজ, খুলনা হোম ইকোনমিক্স কলেজ, পাইকগাছার কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির এবং তেরখাদার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ২০টি কলেজ থেকে এ বছর কেউ উত্তীর্ণ হয়নি।
উদাহরণস্বরূপ, ডুমুরিয়া মডেল মহিলা কলেজ ও খুলনা হোম ইকোনমিক্স কলেজ থেকে একজন করে, কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির থেকে পাঁচজন এবং আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটজন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও সবাই অকৃতকার্য হন।
এছাড়া মেহেরপুরের বিএন কলেজ (১১ জন), মাগুরার বুজরুক শ্রীকুন্ডি কলেজ (৮ জন), রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪ জন), মোহাম্মদপুরের কানাইনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ (৯ জন), বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১১ জন), বাগেরহাটের শিংজর গোপালপুর কলেজ (১৮ জন), সাতক্ষীরার আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ (৯ জন) ও সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (২ জন) থেকেও কেউ পাস করতে পারেননি।
এছাড়া কুষ্টিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল গনি কলেজ (৪ জন), যশোরের বাঁকড়া হিজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস কলেজ (৭ জন), চৌগাছার মারুয়া ইউসুফ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২৬ জন), অভয়নগরের শ্রীধারপুর ইউনিয়ন কলেজ, কেশবপুরের বুরুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১০ জন) এবং ঝিনাইদহের মুনুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৫ জন) থেকেও কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
শিক্ষাবিদদের মতে, এসব কলেজে শিক্ষার মান, শিক্ষক সংকট এবং অনিয়মিত পাঠদানের কারণে এ ধরনের ফলাফল শিক্ষাব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করে।
Leave a comment