আজ ২২ শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী। শ্রাবণের বৃষ্টিমাখা এই দিনে না-ফেরার দেশে চলে যান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই পুরুষ। কিন্তু তার সাহিত্য, সংগীত ও ভাবনার মাধ্যমে তিনি আজও বাঙালির চেতনায় চিরজাগরুক।
রবীন্দ্রনাথ কেবল কবি নন—তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সুরকার, শিল্পী ও দার্শনিক। তার জীবনের বড় একটা সময় কেটেছে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে। জমিদারি সূত্রে এলেও পূর্ববঙ্গের জল-হাওয়ায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন এই জনপদের আপনজন। পদ্মা-গড়াই তীরবর্তী মানুষের জীবন উঠে এসেছে তার লেখায়।
তার ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ, ৯৫টি ছোটগল্প এবং ২,২৩০টি গান—বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। জীবনের নানা অনুভূতি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাস্য-বিষাদের দোলাচল ছুঁয়ে গেছে তার প্রতিটি সৃষ্টিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও শিক্ষক আজিজুর রহমান তুহিন বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পেছনে রবীন্দ্রনাথ এক বড় নাম। তার লেখা নিয়েই আন্দোলন এগিয়েছে।”
শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ উপহার দেন অসামান্য সব চিত্রকর্মও। তার সৃষ্টিশীলতা, মনন ও ভাবনার জগৎ আজও প্রজন্মকে পথ দেখায়। তার গান গেয়ে, লেখা পড়ে বহু শিল্পী খুঁজে পান নিজেকে।
মহাকালের পথে প্রতিবছর আসে বাইশে শ্রাবণ। এদিনে কবিগুরু স্মরণ করিয়ে দেন তার সেই অমোঘ বাণী—“আমারে দেব না ভুলিতে।”
Leave a comment