টানা অতি বৃষ্টিতে কার্যত থমকে গেছে কলকাতা। সোমবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে।
পানি জমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী শোক প্রকাশ করে বলেছেন, “এমন বৃষ্টি আমি জীবনে দেখিনি। পূজার আগে এতগুলো প্রাণ চলে গেল, আমি শোকস্তব্ধ।”
প্রধান প্রভাব
• পরিবহন অচল: রেললাইন ও মেট্রোরেল পানিতে ডুবে যাওয়ায় বহু ট্রেন বাতিল হয়েছে। যানজট ও যানসংকটে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
• শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত: সরকারি স্কুলে আগেভাগে পূজার ছুটি ঘোষণা এবং কলেজ-ভার্সিটির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
• দুর্গাপূজায় ক্ষতি: একাধিক প্যান্ডেল ও মণ্ডপসজ্জা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্যোক্তা, মৃৎশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
• স্বাস্থ্য খাতে সংকট: আরজি কর ও এসএসকেএমসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পানি ঢুকে রোগী ও স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পাম্পিং স্টেশনগুলোতে পানি নামানোর কাজ চলছে, তবে সীমিত ক্ষমতা ও গঙ্গার জোয়ারের কারণে দ্রুত পানি সরানো সম্ভব হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির জন্য দামোদর ভ্যালি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে দায়ী করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সামনের পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে জমা পানি নামতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
👉 উৎসবের আগে এমন দুর্যোগে কলকাতার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, আর আসন্ন দুর্গাপূজার আয়োজনকে ঘিরে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
Leave a comment