রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা সাতজনই মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ইভানোভো অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল এএন-২২ সিরিজের সামরিক পরিবহন বিমান, যা রুশ বাহিনী কার্গো পরিবহন ও লজিস্টিক কার্যক্রমে ব্যবহার করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিমানটিতে ইঞ্জিনজনিত কিছু সমস্যা দেখা দিলে তা মেরামতের পর পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন (টেস্ট ফ্লাইট) পরিচালনা করা হচ্ছিল। এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটেই পাইলটসহ সাতজন প্রযুক্তিবিদ ও ক্রু সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ইভানোভো জেলার একটি নির্জন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। রাজধানী মস্কো থেকে ইভানোভোর দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। কেউ বিমানের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পাননি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “উড়োজাহাজটি জনবসতিহীন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে, তাই বিমানের বাইরে অন্য কারও হতাহত হওয়ার শঙ্কা নেই।” তবে ঘটনাস্থলে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন ত্রুটি বা যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে। তবে মন্ত্রণালয় জানায়, তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলে এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণ সহজ হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
রাশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।
Leave a comment