নীলফামারীর ডিমলায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা এক দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের ৫ বছরের শিশুপুত্র বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ডালিয়া-তালতলা সড়কের ডালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহতরা হলেন ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা এলাকার বাসিন্দা সোনা উল্লাহর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও তার
স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩০)। সেদিন বিকেলে তারা স্থানীয় বাজার থেকে একটি অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার তীব্রতায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দম্পতির মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার সময় তাদের ৫ বছরের শিশুপুত্র গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে রংপুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে রাস্তার পাশে রেখে দেন। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে এবং দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহি বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকচালক পলাতক থাকায় তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডালিয়া-তালতলা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। সড়কটিতে অতিরিক্ত গতির যানবাহন চলাচল, সড়কের কিছু অংশে গর্ত এবং অপর্যাপ্ত ট্রাফিক নজরদারির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা সড়কটিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার এবং গতিসীমা নির্ধারণসহ নিরাপত্তা উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a comment